‘রূপান্তরা’ ছবিতে রাজ বি শেঠি। | ফটো ক্রেডিট: লাইটার বুদ্ধ ফিল্মস/ইউটিউব
মিথিলেশ এদাভালথের রূপান্তর (রূপান্তর) একটি সূক্ষ্ম উদাহরণ কিভাবে একটি ধারণা তার উপস্থাপনা হিসাবে ভাল. রাজ বি শেট্টির অভিনীত এবং সহ-লিখিত (সংলাপ এবং অতিরিক্ত চিত্রনাট্য) চার-তলা সংকলন, আত্ম-পরিবর্তনের গুরুত্বের উপর একটি আকর্ষণীয় চলচ্চিত্র।
মধ্যে কিছুই না রূপান্তর উদ্ঘাটনমূলক, কিন্তু মিথিলেশ তার প্রতিটি গল্পকে ছোট-মহাকাব্য হিসাবে বিবেচনা করে এবং সেগুলিকে আকর্ষক করে তোলে, এমনকি যদি আপনি ক্রমাগত তার লেখার প্রাথমিক প্রকৃতির কথা মনে করিয়ে দেন। উদাহরণস্বরূপ, একটি শিশুকে অপহরণের অভিযোগে একজন ভিক্ষুকের (লেখা নাইডু) গ্রেপ্তারের ঘটনাটিই ধরুন।
একজন প্রভাবশালী এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য এই নিঃস্ব মানুষদের পৃথিবী থেকে নির্মূল করার জন্য “উপাদান” বলেছেন। তিনি তাকে জেলে চান কারণ তার বিশেষাধিকার তাকে নিশ্চিত অপরাধী হিসাবে দেখতে বাধ্য করে।
রূপান্তরা (কন্নড়)
পরিচালক: মিথিলেশ এদাভালথ
কাস্ট: রাজ বি শেঠি, লেখা নাইডু, হনুমাক্কা, জয়শঙ্কর আরিয়ার, সোমশেখর বোলেগাঁও, ভরথ জিবি, অঞ্জন
রানটাইম: 152 মিনিট
কাহিনী: চারটি গল্পের একটি সংকলন যা কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলির স্ব-রূপান্তরের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে
এটা একটা ওপেন সিক্রেট যে ধনী লোকেরা থানায় তাদের কথা বলে। সুতরাং, গল্পের মূল বিষয়বস্তু মৌলিক, তবুও স্টেশনের ভিতরের কার্যপ্রণালীটি পরিচালকের নির্বাহের কারণে অত্যন্ত নজরদারিযোগ্য। সংলাপগুলি তীক্ষ্ণ এবং মজাদার, যা পুলিশদের হতাশ অবস্থাকে প্রতিফলিত করে। কাস্টিংটি দুর্দান্ত, কারণ প্রভাবশালী ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা একটি বিরক্তিকর চরিত্র চিত্রিত করার জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত; আপনি অসংবেদনশীলভাবে তার বিশেষাধিকার flaunting জন্য তাকে ঘুষি মত মনে করেন.
মিথিলেশ এই পর্বটিকে একটি থ্রিলারের মতো আচরণ করেছেন, প্রবীণ শ্রিয়ানের ইচ্ছাকৃতভাবে নড়বড়ে ক্যামেরাওয়ার্ক দৃশ্যগুলিতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তীব্রতা যুক্ত করেছে। পরিচালক গল্পের কথক হিসাবে একজন কনস্টেবলকে (ভারথ জিবি) ব্যবহার করেন, এবং নির্দোষ নতুন যোগদানকারী তার সিনিয়রকে জিজ্ঞাসা করে যে কেসটি কীভাবে ফুটে উঠবে।
একটি অস্থির শৈশবের সাথে একটি ছেলের গল্পে, মিথিলেশ একটি টিকিং টাইম বোমার মতো পর্বটি উন্মোচন করেছেন, যা মিধুন মুকুন্দনের নাটকীয় ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের সাহায্যে। মাদকাসক্ত ছেলেটি অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয় এবং সমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। একটি অন্ধকার স্বরে চিত্রিত চরিত্রটি বিশ্বাসযোগ্য হিসাবে আসে, শিশু হিসাবে সে যা করেছে তা বিবেচনা করে।
‘রূপান্তরা’ থেকে একটি স্থির | ফটো ক্রেডিট: লাইটার বুদ্ধ ফিল্মস/ইউটিউব
সেরা পর্বে একটি গ্রামের একজন বৃদ্ধ দম্পতি জড়িত। তাদের মধ্যে হাতাহাতি ভয়ঙ্কর কারণ দুজনের অসম্ভব স্বপ্ন তাদের দারিদ্র্য-পীড়িত জীবনকে ছাড়িয়ে যায়। পরিচালক সুন্দরভাবে মেলোড্রামা এড়িয়ে চলেন যতক্ষণ না আমরা জানতে পারি যে স্ত্রী একটি টার্মিনাল অসুস্থতায় অসুস্থ। তার সবচেয়ে বড় ইচ্ছা, বেঙ্গালুরুতে একটি দিন উপভোগ করার, ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু ধারণাটি একটি হারানো সুযোগের মতো মনে হয় কারণ পরিচালক চরিত্রগুলির জন্য অর্গানিকভাবে সহানুভূতি তৈরি করতে ব্যর্থ হন।
চতুর্থ গল্পে, রাজ একজন গুন্ডা চরিত্রে অভিনয় করেছেন যে একজন আইটি কর্মচারীর সাথে অকারণে ঝগড়া করে (অভিনয় করেছেন জয়শঙ্কর আরিয়ার, পরিচালক শিবমা)। আবার, একটি আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ ধারণাটিকে দুজনের মধ্যে একটি বাস্তবসম্মতভাবে কোরিওগ্রাফ করা ঝগড়ার মাধ্যমে আকর্ষণীয় করে তোলা হয় এবং এর ফলাফল এমন কিছু যা আপনি কল্পনাও করেননি।
বেশিরভাগ অ্যান্থলজির মতো, গল্পগুলি যতটা কার্যকরভাবে শেষ করা উচিত ততটা হয় না। আরেকটি অভিযোগ, বিশেষ করে নতুন যুগের কন্নড় চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বিরুদ্ধে, দর্শনের উপর তাদের অত্যধিক জোর। একটি ভবিষ্যত অংশে, পরিচালক বারবার তার হতাশা প্রকাশ করেছেন যে পৃথিবী একটি কুৎসিত জগাখিচুড়ি হয়ে উঠেছে। তিনি একটি নম্র কীটকে একটি প্রজাপতিতে পরিণত করার ধারণাটিকে একটি রূপক হিসাবে ব্যবহার করেন যা বিশ্বকে একটি ভাল জায়গা করে তোলার জন্য মানুষের রূপান্তরের প্রয়োজনে। কোনো না কোনোভাবে, আপনি এই ধারণাটিকে চামচ-ফিড করার এবং বিবেক সম্পর্কে তার দর্শনকে ঘরে তোলার জন্য তার একটি সচেতন প্রচেষ্টা অনুভব করেন। কেন শুধু একটি গল্প বর্ণনা করবেন না এবং লোকেদের এটি সম্পর্কে চিন্তা করার জন্য ছেড়ে দেবেন না?
তবুও, মিথিলেশ আত্মবিশ্বাসী অভিষেক। তিনি একজন পরিচালকের যথেষ্ট লক্ষণ দেখান যে তিনি তার ধারণাগুলিকে দৃঢ়তার সাথে কার্যকর করতে যথেষ্ট দক্ষ; এটা তার চিন্তা যে আরো তীক্ষ্ণ এবং সাহসী পেতে প্রয়োজন.
২৬ জুলাই পর্দায় আসছে রূপান্তরা
